জামালপুর সদর উপজেলার ৮নং বাঁশচড়া ইউনিয়নের ঝাওলা গ্রামে শাশুড়িসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যের নির্যাতনে কোহিনুর বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধু নিহত হয়েছেন।
গতকাল সোমবার, (২৭ এপ্রিল) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কোহিনুর বেগম ওই গ্রামের ফারুক হোসেনের স্ত্রী। এ ঘটনার পর পরই শাশুড়ি ছাহেরা বেগমসহ বাড়ীর লোকজন পালিয়ে গেছে। গত রাত ৯টায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, গত প্রায় ৮ বছর আগে ৭নং ঘোড়াধাপ ইউনিয়নের দারিকাদানি গ্রামের আবুল কালামের কন্যা কোহিনুরের সাথে ঝাওলা গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে ফারুকের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের একটি পাঁচ বছরের মেয়ে রয়েছে। ফারুক ঢাকায় একটি কোম্পানীতে কর্মরত । এদিকে স্বামী ফারুকের মা ছাহেরা বেগম ও পরিবারের অন্যান্য লোকজনের সাথে গৃহবধু কোহিনুর বেগমের সাংসারিক বিষয় নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া হতো। কোহিনুরকে তারা প্রায়ই মারধর করত। গতকাল সোমবার কোহিনুরকে তারা বেদম প্রহার করে।
স্থানীয়রা সোমবার বিকেলে বাড়ীতে কোহিনুরকে মৃত অবস্থায় দেখতে পেয়ে নরুন্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে খবর দেয়। খবর পেয়ে উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) কালামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঝাওলা গ্রামে পৌছে নিহত কোহিনুরের লাশ উদ্ধার করে এবং ময়না তদন্তের জন্য জামালপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পুলিশ জানায়, নিহত কোহিনুরের শরীরের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এদিকে ঝাওলার অন্য একটি পক্ষ বলছে কোহিনুকে নির্যাতন করে মারা হয়নি । সে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে।
তথ্যসূত্রঃ দৈনিক জামালপুর এক্সপ্রেস
Ads6