জামালপুর বাংলাদেশের ২০তম জেলা। এই জেলার ভৌগলিক অবস্থান খুবই মনোমুগ্ধকর। বাংলাদেশের উত্তর সীমান্তে গারো পাহাড়ের পাদদেশে নৈসর্গিক দৃশ্য ও নয়াভিরাম পাকৃতিক লীলাভূমি যমুনা , ব্রহ্মপুত্র, ঝিনাই, ঝিনজিরা ও বনার নদীর পলি বিধৌত অববাহিকায় প্রখ্যাত সাধক আউলিয়া হযরত শাহজামাল (রহঃ) ও হযরত শাহ কালাল (রহঃ) এর পূণ্য ভূমিতে জামালপুর জেলার অবস্থান।
সীমানা: বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর মধ্যে জামালপুরের অবস্থান। উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্য (গারো পাহাড়) শেরপুর ও কুড়িগ্রাম জেলা। পূর্বে শেরপুর ও ময়মনসিংহ জেলা। দক্ষিণে টাঙ্গাইল জেলা এবং পশ্চিমে যমুনা নদীর তীরবর্তী সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলা।
জামালপুর জেলা সংস্কৃতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার মধ্যে জামালপুর সংস্কৃতিতে বৃহত্তর ময়মনংিহের প্রতিনিধিত্ব করত। জামালপুরের সিংহজানী, দেওয়ানগঞ্জ, সরিষাবাড়ী , মাদারগঞ্জ এবং নান্দিনাতে জমিদার আমলে নাটক থিয়েটার, গান বাজনা ও যাত্রার বিশেষ প্রচলন ছিল। জমিদার ও হিন্দু সম্প্রাদায়ের সংস্কৃতিমনা ও বিত্তবানদের পৃষ্ঠপোষকতায় এসব মর্ককান্ড চলত। ফলে দেশের সংস্কৃতির অঙ্গনে আজও বহু গুণী শিল্পীর পদচারণা লক্ষ্য করা যায়।
খানে নাটকে মরহুম আনোয়ার হোসেন, আমজাদ হোসেন মরহুম আব্দুল্লাহ আল মামুন, মরহুম ওস্তাদ ফজলুল হক খান, মরহুম রজরুল ইসলাম বাবু, মরহুম এম এস হুদা, গিয়াস উদ্দিন মাষ্টার, শুশান্ত কুমার দেব কানুু, মরহুম ফরিদ আফগানী, মছি উদ্দিন শ্যীপুরী, আবু জাহিদ লতা, ফজলুল করীম ভানু, এ.কে মাহবুব রেজা মতি, মোঃ ছানাউল হক সিদ্দিকী, এম.এম মফিজুর রহমান , এডঃ এসএম সোলায়মান, শর্বরী ও এ প্রজন্মের রাজীব, নোলক বাবু, শশী ও টুটুলসহ অসংখ্য গুণী শিল্পী রয়েছে। বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার জামালপুরে প্রচুর পাট উৎপন্ন হত। এখানকার সবগুলো থানাতে আবাদ হত। তবে চলাঞ্চলের অপেক্ষাকৃত নিচু জমিতে এর ফলন ভাল হয়। এখানকার পাট খুব উন্নত জাতের হত। পাটের আবাদ এখানে বেশী হওয়ার ফলে এখানে বিশ কিছু কোম্পানী পাট কল গড়ে তুলে। সরিষাবাড়ী আলহাজ্ব জুট মিলস, পপুলার জুট মিলস, ইস্পাহনী জুট বেলার্স, বিজেএমসি, বিজেসিসহ অনেক সংস্থা পাটের ব্যবসা করত। ইংরেজগণ সরাসরি এখানকার পাট সরিষাবাড়ী, দেওয়ানগঞ্জ, নান্দিনা ও বকশীগঞ্জ থেকে নৌপথে রপ্তানী করত।
পাট শিল্পের সাথে জড়িত হয়ে বহু মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হত।
ব্রিটিশ শাসিত ভারত বর্ষে পরাধীনতার শৃংখল মোচনের লক্ষ্যে পরিচালিত লড়াই- সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় স্বদেশের হিতব্রতে মানব কল্যাণের গড়ে উঠে গান্ধী আশ্রম। মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে ১৯৩৪ সালে গান্ধী আশ্রমের প্রতিষ্ঠা। কৃষক নেতা নাছির উদ্দিন সরকার ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা। তার জৈষ্ঠ কন্যা রাজিয়া খাতুন ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। আশ্রমের কার্যক্রমের মধ্যে ছিল খাদি কাপড় বোনা থেকে শুর করে শিক্ষা কার্যক্রম, পাঠাগার হস্তশিল্প, কারুশিল্প তৈরি, শরীর চর্চা, বৃক্ষ রোপন, স্বাস্থ্য সেবা সহ স্বদেশের হিতব্রতে বিবিধ কর্মসূচী।
স্বদেশ চেতনা ও দেশ প্রেমে তরুন সমাজকে উদ্বুদ্ধ করাই ছিল আশ্রমের অন্যতম লক্ষ্য। পাকিস্তনী শাসক চক্র ১৯৪৮ সালে বার বার হামলা ও আক্রমন চালিয়ে আশ্রমের বহু স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়, টিকে থাকে শুধু অফিস গৃহটি ।এই অঞ্চলের জনগোষ্ঠির উদ্যোগে ২০০৭ সালে ২ অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে জাতিসংঘ আহুত আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস উদযাপনের মধ্য দিয়ে পুনরায় শুরু হয় মানব কল্যাণের জামালপুরের মেলান্দহে গান্ধী আশ্রমের শুভধ্যায়ী কার্যক্রম।
Ads5
সীমানা: বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর মধ্যে জামালপুরের অবস্থান। উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্য (গারো পাহাড়) শেরপুর ও কুড়িগ্রাম জেলা। পূর্বে শেরপুর ও ময়মনসিংহ জেলা। দক্ষিণে টাঙ্গাইল জেলা এবং পশ্চিমে যমুনা নদীর তীরবর্তী সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলা।
জামালপুর জেলা সংস্কৃতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার মধ্যে জামালপুর সংস্কৃতিতে বৃহত্তর ময়মনংিহের প্রতিনিধিত্ব করত। জামালপুরের সিংহজানী, দেওয়ানগঞ্জ, সরিষাবাড়ী , মাদারগঞ্জ এবং নান্দিনাতে জমিদার আমলে নাটক থিয়েটার, গান বাজনা ও যাত্রার বিশেষ প্রচলন ছিল। জমিদার ও হিন্দু সম্প্রাদায়ের সংস্কৃতিমনা ও বিত্তবানদের পৃষ্ঠপোষকতায় এসব মর্ককান্ড চলত। ফলে দেশের সংস্কৃতির অঙ্গনে আজও বহু গুণী শিল্পীর পদচারণা লক্ষ্য করা যায়।
খানে নাটকে মরহুম আনোয়ার হোসেন, আমজাদ হোসেন মরহুম আব্দুল্লাহ আল মামুন, মরহুম ওস্তাদ ফজলুল হক খান, মরহুম রজরুল ইসলাম বাবু, মরহুম এম এস হুদা, গিয়াস উদ্দিন মাষ্টার, শুশান্ত কুমার দেব কানুু, মরহুম ফরিদ আফগানী, মছি উদ্দিন শ্যীপুরী, আবু জাহিদ লতা, ফজলুল করীম ভানু, এ.কে মাহবুব রেজা মতি, মোঃ ছানাউল হক সিদ্দিকী, এম.এম মফিজুর রহমান , এডঃ এসএম সোলায়মান, শর্বরী ও এ প্রজন্মের রাজীব, নোলক বাবু, শশী ও টুটুলসহ অসংখ্য গুণী শিল্পী রয়েছে। বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার জামালপুরে প্রচুর পাট উৎপন্ন হত। এখানকার সবগুলো থানাতে আবাদ হত। তবে চলাঞ্চলের অপেক্ষাকৃত নিচু জমিতে এর ফলন ভাল হয়। এখানকার পাট খুব উন্নত জাতের হত। পাটের আবাদ এখানে বেশী হওয়ার ফলে এখানে বিশ কিছু কোম্পানী পাট কল গড়ে তুলে। সরিষাবাড়ী আলহাজ্ব জুট মিলস, পপুলার জুট মিলস, ইস্পাহনী জুট বেলার্স, বিজেএমসি, বিজেসিসহ অনেক সংস্থা পাটের ব্যবসা করত। ইংরেজগণ সরাসরি এখানকার পাট সরিষাবাড়ী, দেওয়ানগঞ্জ, নান্দিনা ও বকশীগঞ্জ থেকে নৌপথে রপ্তানী করত।
পাট শিল্পের সাথে জড়িত হয়ে বহু মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হত।
মেলান্দহে গান্ধী আশ্রম ইতিহাসের এক অনন্য অধ্যায়:
মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের কাপাস হাটিয়া গ্রামে গান্ধী আশ্রম কেন্দ্র রয়েছে। এখানে গান্ধির আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে এ আশ্রম প্রতিষ্ঠা করা হয়। আশ্রমে সেবামূলক বেশকিছু কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। সম্প্রতিক ভারতীয় হাইকমিশনার পরিদর্শনে আসেন। এখানে প্রতিদিন বহুদর্শনার্থী আশ্রমটি দেখার জন্য আসেন।ব্রিটিশ শাসিত ভারত বর্ষে পরাধীনতার শৃংখল মোচনের লক্ষ্যে পরিচালিত লড়াই- সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় স্বদেশের হিতব্রতে মানব কল্যাণের গড়ে উঠে গান্ধী আশ্রম। মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে ১৯৩৪ সালে গান্ধী আশ্রমের প্রতিষ্ঠা। কৃষক নেতা নাছির উদ্দিন সরকার ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা। তার জৈষ্ঠ কন্যা রাজিয়া খাতুন ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। আশ্রমের কার্যক্রমের মধ্যে ছিল খাদি কাপড় বোনা থেকে শুর করে শিক্ষা কার্যক্রম, পাঠাগার হস্তশিল্প, কারুশিল্প তৈরি, শরীর চর্চা, বৃক্ষ রোপন, স্বাস্থ্য সেবা সহ স্বদেশের হিতব্রতে বিবিধ কর্মসূচী।
স্বদেশ চেতনা ও দেশ প্রেমে তরুন সমাজকে উদ্বুদ্ধ করাই ছিল আশ্রমের অন্যতম লক্ষ্য। পাকিস্তনী শাসক চক্র ১৯৪৮ সালে বার বার হামলা ও আক্রমন চালিয়ে আশ্রমের বহু স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়, টিকে থাকে শুধু অফিস গৃহটি ।এই অঞ্চলের জনগোষ্ঠির উদ্যোগে ২০০৭ সালে ২ অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে জাতিসংঘ আহুত আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস উদযাপনের মধ্য দিয়ে পুনরায় শুরু হয় মানব কল্যাণের জামালপুরের মেলান্দহে গান্ধী আশ্রমের শুভধ্যায়ী কার্যক্রম।
Ads6