স্টাফ রিপোর্টারঃ দেওয়ানগঞ্জের সানন্দবাড়ীতে বিধবা মা মানসিক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী ভাইসহ পাঁচ জনের সংসার শারিরীক প্রতিবন্ধি শাহিদার। ভ্যান রিক্সা চালক বাবার মৃত্যুর পর প্রতিবন্ধী হাতেই সংসারের হাল ধরে শাহিদা।
গত এপ্রিল মাসে করোনার কারনে সংসার অচল প্রতিবন্ধী শাহিদা কে নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রতিবেদন ছাপা হলে , সানন্দবাড়ী
উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সানন্দবাড়ি হাটবাজারের ইজারাদার মোঃ রেজাউল করিম লাভলু শাহিদার হাতে নগদ ২০০০ টাকা তুলে দেন।
জানা যায় , জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চর আমখাওয়া ইউনিয়ন মৃত ছবর আলী ওরফে কলা কাটা ছবরের বড় মেয়ে
শাহিদা( ২২), ছেলে বাবুল(১৮) লাভলু (১৫) । শাহিদা শারীরিক প্রতিবন্ধী ও ভাই বাবুল মানসিক প্রতিবন্ধী।
শাহিদা অভাবকে জয় করতে ২০১০ সালে এসএসসি ২০১২ সালে এইচএসসি ও ২০১৭ স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।
মেধাবী শাহিদার আকাঙ্খা ছিল লেখাপড়া করে বিসিএস ক্যাডার হবে কিন্তু এই অভাবী সংসারে আর লেখা পড়া করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
গত এপ্রিল মাসে করোনার কারনে সংসার অচল প্রতিবন্ধী শাহিদা কে নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রতিবেদন ছাপা হলে , সানন্দবাড়ী
উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সানন্দবাড়ি হাটবাজারের ইজারাদার মোঃ রেজাউল করিম লাভলু শাহিদার হাতে নগদ ২০০০ টাকা তুলে দেন।
জানা যায় , জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চর আমখাওয়া ইউনিয়ন মৃত ছবর আলী ওরফে কলা কাটা ছবরের বড় মেয়ে
শাহিদা( ২২), ছেলে বাবুল(১৮) লাভলু (১৫) । শাহিদা শারীরিক প্রতিবন্ধী ও ভাই বাবুল মানসিক প্রতিবন্ধী।
শাহিদা অভাবকে জয় করতে ২০১০ সালে এসএসসি ২০১২ সালে এইচএসসি ও ২০১৭ স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।
মেধাবী শাহিদার আকাঙ্খা ছিল লেখাপড়া করে বিসিএস ক্যাডার হবে কিন্তু এই অভাবী সংসারে আর লেখা পড়া করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
মা শামেলা বেগমের কষ্টের ভাগ নিতে শাহিদা ৬ মাসের কম্পিউটার ট্রেনিং নিয়ে বাড়ীর সামনে কম্পিউটার কম্পোজের দোকান খোলে। সারাদিনে যা আয় হতো তা দিয়ে মন্দের ভাল থাকার চেষ্টা চালাতো শাহিদা।
কিন্তু ২৬ মার্চ করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়ে শাহিদা । এ নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে শাহিদাকে নিয়ে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হলে চরআমখাওয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ১ হাজার ও সানন্দবাড়ী হাট ইজারাদার রেজাউল করিম লাভলু নগদ ২ হাজার টাকা দেন।
পরে প্রতারক চক্র এই খবর দেখে নিজেদের সমাজকল্যাণ মন্ত্রানয়ের লোক সেজে ০১৩০৯৪০৮৪৩২ নাম্বার থেকে শাহিদার নিকট ফোন দেন। ফোনে বড় অংকের টাকা অনুদানের লোভ দেখায়। তাদের কথামত ডাচ-বাংলা ব্যাংকে হিসাবও খোলে শাহিদা। পরে খরচ বাদ ৩ হাজার টাকা দাবী করে প্রতারক চক্র।
বাধ্য হয়েই সহযোগিতা পাওয়া ৩ হাজার টাকা ০১৭৭৮২৪২৯৬০ নং নাম্বারে বিকাশ করে দেন শাহিদা। দিন যায় সপ্তাহ যায় আর কোন খবর নেই। বর্তমানে নাম্বার দুটি বন্ধ করে দেয় প্রতারক চক্র।
ভয়াল করোনা কালীন মৃত্যুভয় যখন চারিদিকে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, চারিদিকে মানুষ সাধ্যমত সহযোগিতার চেষ্টা করছে তখন একজন শারীরিক প্রতিবন্দ্বির কাছে প্রতারনা করে অর্থ আত্মসাৎ করা বিষয়টি মানবতার নৈতিক বিপর্যয় মনে করা ছাড়া আর কিছুই নয়।
এ বিষয়ে শাহিদা শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে আর বৃষ্টির ফোটার মত চোখ হতে টপটপ করে অশ্রু সজল কন্ঠে বলেন, আমার প্রতিবন্দ্বি ভাইবোনদের নিয়ে আমি বাঁচতে চাই। আমাদের বাঁচান, ভিক্ষা নয়, যোগ্যতানুযায়ী কাজের ব্যবস্থা করে দিন।
Ads6