করোনার ভয়ে বকশীগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক শীর্ষ কর্মকর্তা ডাঃ সোনিয়া না আসায় কার্যত বন্ধ হয়ে আছে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ। এ বিভাগের অন্যতম মাতৃ সদন কেন্দ্রটি মাসের পর মাস বন্ধ থাকায় মুল অবকাঠামোর উপর গাছেরও জন্ম হয়েছে।
বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে বর্তমান সরকারের ঘোষনা অনুযায়ী কোন চিকিৎসক কর্মস্থল ত্যাগ করার ক্ষেত্রে কঠোর বিধি নিষেধ থাকা স্বত্বেও দীর্ঘদিন যাবত ডাঃ সোনিয়া কর্মস্থল ত্যাগ করে জামালপুরে অবস্থান করছেন।
এ বিষয়ে অফিস সহকারী রুহুল আমিনের নিকট তার সর্বশেষ আসার তারিখ জানাতে চাইলেও তিনি তা বলতেও পারেননি।
তিনি প্রায় মাসখানেক যাবত বকশীগঞ্জ কর্মস্থলে আসেন না বলেও অভিযোগ উঠেছে। তিনি না আসার ফলে বকশীগঞ্জে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গর্ভবতী মহিলারা। এছাড়া পরিবার পরিকল্পনা সেবা গ্রহনকারীরাও রয়েছে বিপাকে। এ বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা (উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার)রাও যাচ্ছে না অফিসে। মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্য কর্মীরা পরিবার কল্যান পরিদর্শিকাসহ অন্যান্যরাও দায়িত্ব পালনের চরম অনিহা। ফলে ভেঙ্গে পড়েছে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ।এদিকে বকশীগঞ্জ দক্ষিণ বাজারে অবস্থিত মাতৃ কল্যান কেন্দ্রে গর্ভবতীদের সেবা দেওয়া জন্য ২৪ ঘন্টা খোলার কথা থাকলেও সেটি প্রায় দেড় মাস যাবত বন্ধ রয়েছে। সেখানে একজন নিয়মিত পরিবার কল্যান পরিদর্শিকা থাকার কথা থাকলেও সেটি নেই।
এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ প্রতাপ নন্দী জানান, এটি আমার আওতায় নয়।
পরে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে ডাঃ সোনিয়া জানান, তিনি নিয়মিত অফিস করছেন, বর্তমানে তিনি বকশীগঞ্জেই অবস্থান করছেন। দেখা করতে চাইলে তিনি মোবাইলেই কথা বলবেন, দেখা করবেন না বলে জানান। পরে জানা যায় তিনি অবস্থান করছেন জামালপুর জেলা সদরে।
Ads6