বকশীগঞ্জে পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে ঝুলছে লেবু

Ads4
স্টাফ রিপোর্টারঃ জামালপুরের বকশীগঞ্জে দুর্গম গাঢ়ো পাহাড়ের বাকে বাকে ঝুলেছে লেবু। কামালপুর ইউনিয়নের সাতানিপাড়া এলাকায় দেখা যায় দিগন্ত জুড়ে লেবুর বাগান। স্থানীয় পাহাড়ী ও বাঙ্গালী একটু সমতল জায়গা পেলেই রোপণ করছেন লেবুর চারা। করোনায় ও রমজানে লেবুর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় লাভবান হচ্ছে লেবু চাষীরা।
এর কারণ অবশ্যই একটু ভিন্ন। হাতির আক্রমনে যখন পাহাড়ি জনপথ দিশেহারা তখনি স্থানীয় জেলা প্রশাসকের পরামর্শে হাতির আক্রমন থেকে বাঁচতে লেবু চাষে আগ্রহী হয় স্থানীয় জনপদের মানুষ।
বিভিন্ন জায়গা থেকে লেবু চারা ও কলম সংগ্রহ করে বন্য হাতির বিচরণ ক্ষেত্র ও হাতির চলাচল রাস্তা সমুহে এসব লেবু চারা রোপণ করে। এসব লেবু চারা রোপনের ফলে একদিক থেকে হাতির আক্রমন থেকে রক্ষার পাশাপাশি অন্যান্য ফসল তারা নিবিঘ্নে ঘরে তুলতে পারছেন। লেবু চারা বড় হওয়ায় এখন আর এই এলাকায় হাতির উপদ্রুপ অনেকটাই কমেগেছে।
লেবু চাষে আবহাওয়া ও মাটি অনুকুলে হওয়ায় এখানে শুধু এলাচি, কাগজি ও বাতাবি লেবুর চাষ করা হয়েছে। অন্যান্য লেবুর চেয়ে গুনগত মান উন্নত হওয়ায় স্থানীয় বাজারে এ লেবুর ব্যাপক চাহিদা থাকায় উপযুক্ত মুল্য পাচ্ছে এসব লেবু চাষিরা।
স্থানীয় বাজারে লেবুর চাহিদা পুরণ করে অন্যান্য জেলাতেও যাচ্ছে এসব লেবু।
এসব লেবু গাছের ফলে ভারতীয় বন্যহাতি এখন আর বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকতে না পারায় জানমাল অনেকটাই নিরাপদ।
এদিকে লেবু চাষ করলেও পরীক্ষামুলক ভাবে মালাটার চারাও রোপণ করতে দেখা গেছে। বেশ কিছু গাছে মালাটা ধরেছেও। এ গুলো পাকতে আরও বেশ কিছুদিন সময় লাগবে।
তবে স্থানীয় কৃষি বিভাগের প্রতি অভিযোগ বিস্তর। ফারুক মিয়া জানান, তারা লেবু চাষ করছেন আনুমানের উপর ভিত্তি করে। এ পর্যন্ত লেবু চারা রোপন করলেও কোন ধরনের সার ও কিটনাশক দেওয়া হয়নি। প্রশিক্ষণ নিয়ে সঠিক নিয়ম মোতাবেক লেবু চাষ করলেও হয়তো আরও লাভবান হওয়া যেতো।
এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর আজাদ জানান, ওখানে লেবু চাষ হয়েছে আমি জানতে পেরেছি। লেবু চাষ নিয়ে বা অন্য কোন সমস্যা নিয়ে আমাদের কাছে আসেনি। যদি আসে তবে সর্বাত্মোক সহযোগিতা করা হবে।
Ads5
Ads6
Related Posts