জামালপুর সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের হাসিল পারিল এলাকায় বাঁশ কাটাকে কেন্দ্র করে হাসনা বেগম (৪৫) নামে এক গৃহবধু খুন হয়েছে। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটেছে। এ ঘটনায় আজ শনিবার বিকাল পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। নিহতের বড় মেয়ে শিল্পী বেগম বলেন আমাদের বাঁশঝারের একটি বাঁশ পার্শ্ববর্তী আরিফ হোসেনদের ঘরের চালের ওপর ঝড়ে পড়ে যায়। আরিফ হোসেন বাঁশঝারের মালিককে না জানিয়ে বাঁশটি কেটে ফেললে বাঁশঝারের মালিক মছকেত আলীর সাথে আরিফের চাচা সোহরাব আলীর ঝগড়া বাদে। একপর্যায়ে তাদের উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে ওই দিন বিকেলেই সোহরাব আলীর নেতৃত্বে মছকেতের বাড়িতে হামলা চালিয়ে পুরো পরিবারকে আহত করে। এতে হাসনা বেগম, তার স্বামী মছকেত আলী,কন্যা শিখা খাতুন ও মনির উদ্দিন আহত হন। গুরুতর আহত হাসনা বেগমকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। পরে তার অবস্থা বেগতিক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেলে হস্তান্তর করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বিষয়টি নিয়ে নিহতের মেয়ের জামাই পুলিশের এ এস আই মোখলেছ উদ্দিন বলেন আমার শ্বাশুড়িকে মাথায় আঘাত করে নির্মমভাবে মারা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দেয়া হবে। অপরদিকে অভিযুক্ত সোহরাব আলীর পরিবার পলাতক রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীর একজনে বলেন সোহরাব আলীর পরিবারের লোকজনেরাও আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে জামালপুর সদর থানার ওসি সালেমুজ্জামান বলেন খুনের বিষয়টি শুনেছি। কিন্তু ওই পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত মামলা করার জন্য কেউ আসেনি।
Ads5
Ads6