নিপুন জাকারিয়া :---
সারা দেশে করোনা ভাইরাসের কারনে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ, ধীর গতিতে এগিয়ে চলছে। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কোন কোন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিজেদের মতো করে আখের গুছাতে ব্যাস্ত সময় পার করছে। জামালপুর সদরের শাহবাজপুর ইউনিয়নের কৈডোলা পটলপাড়া গ্রামের জনগনের দাবীর প্রেক্ষিতে ব্রীজের কাজ সরেজমিনে দেখতে গিয়ে মিললো তেমনি অনেক তথ্য।
স্থানীয় জনগন জানান- জামালপুর সদর উপজেলার প্রকল্পের ২৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে শাহবাজপুর ইউনিয়নের পটলপাড়া ব্রীজ। পটলপাড়া খালে নির্মিত ব্রীজটি শাহবাজপুর ও দিগপাইত ইউনিয়নের এই এলাকার জনগনের পারাপারের ভোগান্তি কিছুটা হলেও লাঘব করবে। এমনি প্রত্যাশা ছিল এলাকাবাসীর। অজোপাড়া গায়ের এই আশা হীন মানুষদের আশার আলো দেখাতে পারেনি ব্রীজের দায়িত্বে নিয়োজিত বাচ্চু ঠিকাদার। কাজের শুরু থেকে এলাকাবাসীর চোখে ধরা পড়ে নানা অনিয়ম। পাথরের পরির্বতে ব্যাবহিত হয় তিন নাম্বার রাবিশ। তেমনি তৈরি করা হয়নি কোন প্রকার চলা চলের বিকল্প ব্যবস্থা। সেজন্য কৃষি পন্য নিয়ে কৃষকের যেমন ভোগান্তির শেষ নেই। তেমনি বোর মৌসুমের ধানের ন্যায মূল্য পাচ্ছে না স্থানীয় কৃষকরা। পাড়াপাড়ের ব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন পন্য নিয়ে, কোমর পানিতে গাড়ী পারাপার করতে পাচ্ছে না, ব্যবসায়ীরা ও স্থানীয় কৃষকরা। স্থানীয়রা আরো জানান- রাবিশ দিয়ে নিম্ম মানের কাজ করা হলেও দেখার জেনো কেউ নেই। কাজের দায়িত্বে বাচ্চু ঠিকাদারের নিয়েজিত সাজুর দাপটে অতিষ্ট এলাকাবাসী। হয়তো কিছু দিনের মধ্য এ ব্রিজ ভেঙ্গে পড়বে, সকল ক্ষেত্রে এ বাঁধ জেনো এলাকাবাসীর মরার উপর খাড়াঁর ঘা হয়ে দাড়িঁয়েছে।
রাশিব দেওয়া প্রসঙ্গে বাচ্চুর কাজের নিয়জিত সাজু জানান- রাবিশ দিয়েছি তাতে কি হয়েছে। রাবিশ দিয়ে কত কাজ করলাম, কেউ কখন আসলো না, সরকারের টাকা আমরা খাবো আপনাদের কি? আপনারা কোন স্বার্থে এখানে এলেন। এলাকাবাসী বললেই আসতে হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প কর্মকতা আরিফুল ইসলাম জানান- কাজ সঠিক ভাবে করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাবিশের খবর পেয়ে কাজ বন্ধ করে দেন তিনি। স্থানীয় এলাকাবাসী কাজ সঠিক ভাবে হওয়ার জন্য এমপি মোজাফফর হোসেনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।