মেহেদী হাসান -
জামালপুর সদর উপজেলার ঘোড়াধাপ ইউনিয়নে বহু আবেদন-নিবেদনের পরও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কোনোরূপ সাড়া না পেয়ে অবশেষে নিজ অর্থায়নে ২ নং ওয়ার্ডের চড়িমাগুড়া গ্রামে রাস্তা নির্মাণ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন যুবলীগ নেতা আনছার আলী।
সদর উপজেলার ঘোড়াধাপ ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের
চড়িমাগুড়া গ্রামে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে। এখানে ভারুয়াখালী এম.এন.এ উচ্চ বিদ্যালয় ও জোকা ভারুয়াখালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে। এক কিলোমিটার দূরে ময়মনসিংহ-জামালপ
ভুক্তভোগী গ্রামবাসীসহ এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল চড়িমাগুড়া পর্যন্ত ১ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণের।কিন্ত
তাই এবার যুবলীগ নেতা আনছার আলী তার নিজস্ব অর্থায়নে ১ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ করেন।
জানতে চাইলে যুবলীগ নেতা আনছার আলী বলেন, রাস্তা নির্মাণে আমি কারো কাছে কোনো টাকা নেয়নি। আমার নিজ অর্থ দিয়ে সম্পূর্ণ রাস্তায় মাটি ভরাট করে চলাচলের উপযোগী করেছি। । এটি এই এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। এখন খুব সহজেই এই এলাকার জনগণ ময়মনসিংহ-জামালপ
তিনি আরো বলেন, বিগত দিনের মত আমি আপনাদের পাশে থাকতে চাই। এলাকার উন্নয়ণ করে জনগনের সেবা করে মরতে চাই। আমি এই এলাকার সন্তান। এই এলাকার জনগণ আমাকে যেভাবে ভালোবাসেন। এর জন্য চিরঋনী আমি। আগামীতে যদি সুযোগ পাই, আর আপনাদের ভোটে যদি বিজয়ী হতে পারি , তাহলে এই ইউনিয়নে যে অসমাপ্ত কাজ গুলো আছে তা সমাধান করা হবে। তাই আমি ইউনিয়নবাসীকে বাসীকে বলবো কোন পেশি শক্তির কাছে মাথা নত না করে উন্নয়ণের স্বার্থে আপনারা এক হয়ে আমার পাশে থাকবেন।
স্থানীয়রা বলেন, যুবলীগ নেতা আনছার আলী নিজস্ব অর্থায়নে সড়কটি তৈরি করেছেন। এ সংযোগ সড়ক নির্মাণের ফলে মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা অনেক সহজ হবে।
ঘোড়াধাপ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, রাস্তাঘাট নির্মাণ করতে বিত্তবানরা এভাবে এগিয়ে এলে বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো। আমি যুবলীগ নেতা আনছার আলীর এ মহান উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
ঘোড়াধাপ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রভাষক ফজলুল হক জানান, আনছার আলী আমাদের গ্রামের গর্ব। সে দিন রাত এই ইউনিয়নবাসীর কথা ভাবেন। সব সময় ইউনিয়নের প্রতিটি মানুষের খোঁজখবর নেন। যে কোন বিপদে আপদে আনছার ইউনিয়নবাসীদের পাশে থাকেন। নিজস্ব অর্থায়নে এই রাস্তাটি নির্মাণ করে দেওয়ায় এই গ্রামের মানুষদের অনেক দিনের দুঃখ কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হয়েছে।