তাপস কর,ময়মনসিংহঃ
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় ভয়াবহ বন্যায় বিভিন্ন সড়কে মারাত্মক ভাঙন এবং গর্তের সৃষ্টি হয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বন্যার পানি কিছু কমতে শুরু করলেও রাস্তাঘাটের করুণ অবস্থা ফুটে উঠেছে। পৌর এলাকা এবং বিভিন্ন ইউনিয়নের অনেক যায়গায় রাস্তার মাঝখানে ভেঙে গিয়েছে।
বিশেষ করে উত্তর অঞ্চলের সাথে উপজেলা তথা জেলার একমাত্র সড়কটি বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নের কান্দিরগ্রামের বটতলার থেকে কিছুদূর দক্ষিণ দিক পয়েন্টে বন্যার স্রোতের কারণে সড়কের মাঝখানে ভেঙে গিয়ে প্রায় ছয় ফিট গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে গিয়ে দেখা গেল সড়কের মাঝখান দিয়ে তীব্র পানির স্রোত প্রবাহিত হচ্ছে। এই পয়েন্টে প্রতিবছরই বন্যায় সড়কের মাঝখানে ভেঙে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এই সড়ক দিয়ে সবধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে ফলে চরম দুর্ভোগের পড়েছে এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী ৪ ইউনিয়নসহ রাজিবপুর রৌমারী তথা কুড়িগ্রামের হাজারো মানুষ।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উদ্যোগে সেখানে বালু ভরাট শুরু হয়েছে। তীব্র স্রোতের ভেতর বালুর বস্তা আটকানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। সেখানে গিয়ে দেখা গেছে বালুর বস্তা পানির স্রোতে ভেসে যাচ্ছে।
বাহাদুরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সাকিরুজ্জামান জানান, এই সড়কটি উপজেলার খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই সড়ক দিয়ে উত্তর অঞ্চলের চারটি ইউনিয়নসহ রাজিবপুর রৌমারীর হাজারো মানুষ চলাচল করে। ভেঙে যাওয়া সড়কটি খুব দ্রুত মেরামত করা দরকার। এবিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। রাস্তাটি আপাতত চলাচলের উপযোগী করার উদ্যোগ নিয়েছি। দু-একদিনের ভেতর চলাচলের উপযোগী হবে।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাহেদ হোসেন বলেন, আমি দুই দিন আগে সেখানে গিয়েছিলাম। দেখেছি নদীর তীব্র স্রোত ওই পয়েন্ট দিয়ে প্রবাহিত হয়। ফলে প্রতিবছরই এই অংশটি বন্যায় ভেঙে যায়। যমুনা নদী শাসন ছাড়া এই ভাঙন রোধ করা খুব কঠিন। এর মধ্যেই আমরা এ বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। বন্যার পানি কিছুটা কমতে শুরু করলে আমরা সার্বিক ক্ষতির চিত্র বুঝতে সক্ষম হব, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
Ads6