ইসলামপুরে এসএসসি পরীক্ষার্থী সুমনার উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

জামালপুরের ইসলামপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এসএসসি পরীক্ষার্থী মেধাবী ছাত্রী সুমনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী মানিক বাহিনীর হামলার প্রতিবাদ ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।



সোমবার সকাল ১১টায় ইসলামপুর শহরের ৮নং ওয়ার্ডবাসীর আয়োজনে প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে মোশারফগঞ্জ বাজারের প্রধান সড়কে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন অনুুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে ভোক্তভোগী পরিবারে সুফিয়া ও এলাকাবাসীর সুধী রাশেদুল ইসলাম ও শওকত আলী সহ অনেকেই বক্তব্য রাখেন।


এসময় বক্তারা বলেন, গত ৩১মার্চ দুপুরে ইসলামপুর শহরের তেঘরিয়া মীরপাড়া বসতবাড়ী জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ মানিক (৪০)গংরা বেআইনীভাবে ইদ্রিস আলীর বসতবাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করে তার পরিবারের লোকদের উপর দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হত্যার উদ্দ্যেশে হামলা করে। প্রতিপক্ষের হামলায় ঘটনায় এস.এস.সি পরীক্ষার্থী সুমনা আক্তার, অপু শেখ ও জামিলা বেগমসহ তিন জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে গুরতর অবস্থায় মেধাবী ছাত্রী সুমনা আক্তার বর্তমানে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরই প্রতিবাদে সন্ত্রাসী মানিক বাহিনীর হামলা ঘটনার ন্যায় বিচার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে এলাকাবাসী।
এছাড়াও এই ঘটনায় ভোক্তভোগী পরিবারের পক্ষে ইদ্রিস আলী বাদী হয়ে ইসলামপুর থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন। অভিযোগ পেয়ে ইসলামপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হামলাকারী সন্ত্রাসী মানিককে আটক করে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন।

মেলান্দহে মেয়েকে কটূক্তির প্রতিবাদ করায় বাবাকে হত্যা

আজ মঙ্গলবার দুপুরে মেলান্দহ পৌর শহরের নয়ানগর মধ্যপাড়া গ্রামে নিজের মেয়েকে কটূক্তির প্রতিবাদ করায় বাবাকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে মেলান্দহ থানার পুলিশ। আটক তিন ব্যক্তি হলেন মো. কাশেদ মিয়া (৪৪), তাঁর স্ত্রী পারভীন বেগম (৩০) ও কাশেদ মিয়ার বন্ধু বেলায়েত হোসেন (৪০)।

নিহত ব্যক্তির নাম মানিক মিয়া (৪৫)। তিনি মেলান্দহ পৌর শহরের নয়ানগর মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মাছ ব্যবসায়ী ছিলেন

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পৌর শহরের নয়ানগর মধ্যপাড়া গ্রামের কাশেদ মিয়ার ছেলে (১২) একই এলাকার মানিক মিয়ার মেয়েকে (১৩) কটূক্তি করে। বিষয়টি জানতে পেরে বাবা মানিক মিয়া নালিশ দেওয়ার জন্য কাশেদ মিয়ার বাড়িতে যান। তিনি ওই বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে কটূক্তির প্রতিবাদ করেন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ঝগড়া লাগে। একপর্যায়ে রড দিয়ে মানিক মিয়ার মাথায় আঘাত করেন কাশেদ মিয়া। এতে ঘটনাস্থলে মানিক মিয়া নিহত হন। খবর পেয়ে দুপুরে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। একই সঙ্গে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করে।


মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, নিহত ব্যক্তির মেয়েকে কাশেদ মিয়ার ছেলে কটূক্তি করেছিল। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ঝগড়া লাগে। ঝগড়ার একপর্যায়ে মানিক মিয়াকে রড দিয়ে আঘাত করা হয়। এতে ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।


Ads2

মেলান্দহ উপজেলা নির্বাচনে ছেলের পরাজয়ের খবর শুনে বাবার মৃত্যু

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ফুলকোচা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ছেলের পরাজয়ের খবর শুনে বাবার মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।

মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম শাহা জামাল (৬৫)। তিনি ফুলকোচা এলাকার পূর্ব পাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর ছেলে মো. আজাদ মিয়া ইউপি নির্বাচনে ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ ইউপি সদস্য পদে তালা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। নির্বাচনে তিনি ২৩ ভোটে পরাজিত হয়েছেন।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ফুলকোচা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হয়েছে। শুরু থেকে মো. আজাদ মিয়ার বাবা শাহা জামাল নির্বাচনী  প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। প্রতিটি গ্রামের ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তিনি ছেলের জন্য ভোট চেয়েছেন। 

ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে মো. আজাদ মিয়াসহ আরও পাঁচজন নির্বাচনে অংশ নেন। সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। শাহা জামালের ছেলে আজাদ মিয়া তালা প্রতীক নিয়ে ২৭৮ ভোট পান। কিন্তু তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো.শহিদুল্লাহ টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ৩০১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। মাত্র ২৩ ভোটে তাঁর ছেলে মো. আজাদ পরাজিত হন। এ খবর শুনে নিজ বাড়িতে শাহা জামাল মারা যান।

শাহা জামালের ছেলে মো. আজাদ মিয়া মুঠোফোন বলেন, ‘নির্বাচনের শুরু থেকে বাবা দিন-রাতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। মানুষের কাছে আমার জন্য ভোট চেয়েছেন। অনেক পরিশ্রম করেছেন। আমার পরাজয়ের খবরটি শুনেই বাবা স্ট্রোক করে মারা যান। বাবা আমার পরাজয়ের খবরে অনেক বেশি কষ্ট পেয়েছিলেন।’ পরে তিনি তাঁর বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া চান ।

অতিরিক্ত ডিআইজি ময়মনসিংহ রেঞ্জ মহোদয় কর্তৃক ডিবি জামালপুর বার্ষিক পরিদর্শন

আজ বুধবার (১২ অক্টোবর) জনাব আবিদা সুলতানা বিপিএম পিপিএম, অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট & অপারেশন), ময়মনসিংহ রেঞ্জ, বাংলাদেশ পুলিশ, ময়মনসিংহ মহোদয় জেলা গোয়েন্দা শাখা, জামালপুর বার্ষিক পরিদর্শন করেন।




অতিরিক্ত ডিআইজি মহোদয়ের আগমনের শুরুতে ফুলেল শুভেচছা জানান জামালপুর জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার, জনাব নাছির উদ্দিন আহমেদ। পরে জেলা পুলিশ, জামালপুরের একটি সুসজ্জিত চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন।
পরে অতিরিক্ত ডিআইজি মহোদয় ডিবি জামালপুরের সকল দাপ্তরিক নথিপত্র পর্যালোচনা করেন এবং পরিদর্শন বহিতে সাক্ষর করেন।এসময় কনফারেন্স রুমে ডিবিতে কর্মরত সকল সদস্যদের সাথে বিশেষ মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।
এসময় জেলা পুলিশ, জামালপুরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন
Ads3

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চর ডাকাতিয়া সেতুর সংযোগ সড়ক নেই

এক যুগ ধরে সংযোগ সড়ক ছাড়াই  দাঁড়িয়ে আছে জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চিকাজানী ইউনিয়নের মণ্ডলবাজার-চর ডাকাতিয়া সেতুর সংযোগ সড়ক ।
সেতুটি নির্মাণের এক বছর পরই বন্যায় ভেঙে যায় সেতুটির সংযোগ সড়ক। ফলে দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মণ্ডলপাড়া, পশ্চিম কাজলাপাড়া, চর ডাকাতিয়াসহ পাঁচ গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষ। 


স্থানীয়দের হতে জানা যায়, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে যমুনার তীরবর্তী এলাকার মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা সুগম করতে ২৪ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতুটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি হয় স্থানীয়দের। 
পাল্টে যায় জীবন-জীবিকার মান। তবে নির্মাণের পর থেকে প্রতি বছরের বন্যায় একটু একটু করে ভেঙে যায় সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়ক। এতে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে যোগাযোগব্যবস্থা। 
দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এতে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

জামালপুর জেলা কারাগার পুনঃনির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপণ

বদলে যাচ্ছে জামালপুর জেলা কারাগার। ৬ তলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন নতুন কারাগার ভবনসহ নানা স্থাপনা হতে যাচ্ছে।


পুরনো এই কারাগারের প্রশাসনিক ভবন, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবাসন সুবিধা এবং নারী, পুরুষ ও কিশোর বন্দিদের ওয়ার্ড নির্মাণসহ ২১০ কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন জামালপুর জেলা কারাগার পুনর্নির্মাণ নামের একটি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।



আজ শনিবার ( ০১ জানুয়ারি)  সকালে এ ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন এর শুভ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মির্জা আজম এমপি। 


ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জামালপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার মোজাফফর হোসেন, জামালপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানু। 


উল্লেখ্য, জেলা কারাগার পুনঃনির্মাণ প্রকল্পে গৃহায়ন ও গনপুর্ত মন্ত্রনালয়ের স্থাপত্য অধিদপ্তরের নকশায় ভূমি উন্নয়ন, বিচারাধীন ও সাজাপ্রাপ্ত বন্দি ব্যারাক (পুরুষ) নির্মাণ, পুরুষ শ্রেণিপ্রাপ্ত বন্দি ও কিশোর বন্দি ওয়ার্ড নির্মাণ, পুরুষ বন্দি হাসপাতাল, মানসিকভাবে অসুস্থ বন্দি ওয়ার্ড, মা বন্দিদের জন্য ওয়ার্ড ও শিশুদের ডে-কেয়ার সেন্টার, মহিলা বন্দিদের ওয়ার্কশেড ও বিনোদন সেন্টার, মহিলা জেল স্কুল, মহিলা শ্রেণিপ্রাপ্ত ও কিশোরী বন্দি ওয়ার্ড, মহিলা বন্দি সেল, সাক্ষাতকার ব্লক, প্রশাসনিক ভবন, ব্যাচেলর অফিসার্স কোয়াটার, ৮০০ বর্গফুট আয়তনের একটি এবং ৬৫০ বর্গফুট আয়তনের দুটি আবাসিক কোয়াটার নির্মাণ, ওয়ার্কশেড, স্টোর, লন্ড্রি এবং সেলুন, দর্শনার্থীদের অপেক্ষাগার, এমআই ইউনিটসহ ৭৫ জনের পুরুষ ব্যারাক ভবন, সীমানা প্রাচীর, পেরিমিটার দেয়াল, সেগ্রিগেশন দেয়াল, আরসিসি ওয়াকওয়ে, পাম্প হাউজ, ক্যান্টিন, প্যারেড গ্রাউন্ডসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ এবং সোয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (এসটিপি), পুকুর খনন, লিফট, সৌরবিদ্যুৎ, বনায়ন, যানবাহন ক্রয়, আসবাবপত্র ক্রয়, জেল হাসপাতাল ও নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি, অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রপাতি, বহির্বিভাগের চারদিকে বিদ্যুতায়ন, বাইরে পানি সরবরাহ, অন্যান্য অফিস সরঞ্জামাদি, জেনারেটর, বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন স্থাপন করা হবে। 


প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে কারাগার আর কারাগার থাকবেনা বন্দিদের সংশোধনের পাঠশালায় পরিনত হবে।


বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মির্জা আজম এমপি বলেছেন, ব্রিটিশ আমলে গড়া পুরনো জরাজীর্ণ কারাগারটি ৬তলা বিশিষ্ট  আধুনিক ভবন নির্মিত হতে যাচ্ছে।থাকছে অত্যাধুনিক সব সুযোগ সুবিধা। প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে কারাগার আর কারাগার থাকবেনা বন্দিদের সংশোধনের পাঠশালায় পরিনত হবে।


জামালপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার আবু ফাত্তাহ বলেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ ঝুকিপুর্ণ ভবনে বন্দীরা জীবনেব ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে তেমনি আমরাও ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করেছি। পুণ:নির্মাণ প্রকল্পটি পাশ হলে অত্যাধুনিক কারাগারে বন্দিদের দীর্ঘদিনের দুর্ঘোব লাগব হবে।


তিনি আরো জানান, প্রস্তাবিত নতুন এই প্রকল্পে জামালপুর কারাগারের পুরাতন অবকাঠামো বলতে আর কিছুই থাকবে না। সবকিছুই করা হবে নতুন করে।


এসময় জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। 


সংবাদঃ মেহেদী হাসান, জামালপুর।